ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার ৪ উপায় - ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

খুব সহজে ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম করুন

ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার ৪ উপায় - ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার ৪ উপায়

বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। ফেসবুকের জনপ্রিয় ফিচার হচ্ছে রিলস। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবাই মেতেছেন রিলস তৈরি এবং শেয়ারে। দিনে ৫-৬টি রিলসও শেয়ার করেন অনেকে। হাজার হাজার ভিউ এবং কমেন্ট পড়ছে সেসব রিলসে। Ways to earn from Facebook Reels.

মূলত টিকটককে টেক্কা দিতেই রিলস ফিচার এনেছিল ফেসবুক। ইনস্টাগ্রামে এই সুবিধা যুক্ত হয়েছে আরও আগে। রিলস তৈরি করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়। রিলস থেকে টাকা আয় করার একাধিক সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার মতে, রিলস হলো ফেসবুকে সব থেকে দ্রুত উন্নতি করা ভিডিও ফরমেট। একটি ফেসবুক রিল মূলত ৩ সেকেন্ড থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকে।মেটার ১৫০টি দেশের তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে দিনের অর্ধেক সময় রিলস দেখে কাটায়।

তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক রিলস থেকে আয় করার সহজ কিছু উপায়-

বিজ্ঞাপন

একজন ব্যক্তির ১০ হাজার ফলোয়ার, ৫টি ভিডিও এবং গত ৬০ দিনে ৬ লাখ মিনিটের ভিউ থাকলেই সে রিলসে বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই বিজ্ঞাপন থেকে আসা অর্থের ৫৫ শতাংশ পাবেন আপনি এবং বাকি ৪৫ শতাংশ পাবে ফেসবুক।

ফেসবুক স্টারস

সম্প্রতি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আয়ের নতুন একটি উপায় আনার কথা ঘোষণা করেছে মেটা। এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারী রিলস দেখার সময় স্টার দিতে পারবে। প্রতি ১০০ স্টারে ১ ডলার পাওয়া যাবেন কন্টেন্ট নির্মাতা।

রিলস বোনাস প্রোগ্রাম

রিলস থেকে আয় করার আরেকটি উপায় হচ্ছে রিলস প্লে বোনাস প্রোগ্রাম। যদি আপনার কোনো রিলস ভিডিওতে ৩০ দিনে ১ হাজার ভিউ হয় তাহলে ফেসবুক থেকে আপনি টাকা পাবেন। এই উপায়ে ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে ব্যবহারকারীকে।

চ্যালেঞ্জ

সম্প্রতি মেটা ঘোষণা করেছে যে যারা নিজস্ব রিল পাবলিশ করবে, তাদের টাকা দেওয়া হবে। এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একজন ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর একটি চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করলে অপর একটি চ্যালেঞ্জ খোলে। চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে টাকা আয় করতে হলে আপনার অবশ্যই রিলস বোনাস প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। ৩০ দিন মেয়াদে হবে একেকটি চ্যালেঞ্জ। মেয়াদ শেষ হলে নতুনভাবে চ্যালেঞ্জ শুরু হবে।